নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরদুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী এখন শয্যাশায়ী। ফলে গোটা পরিবার পড়েছে বড্ড বিপাকে। উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ ওরাওঁ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু বছরখানেক আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। তখন থেকেই বাড়িতে শয্যাশায়ী দিলীপ। সংসারে তার রয়েছে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে যেখানে খাওয়ার জোটানোই মুশকিল। সেখানে এই দুরারোগ্য ব্যাধি চিকিৎসার ব্যয়ভার টানাই দুঃসাধ্য। তবুও তারা তাদের সাধ্যমতো রায়গঞ্জ শিলিগুড়ি এবং পূর্ণিয়া থেকে তার চিকিৎসা করিয়েছেন। 


সকলেই দিলীপকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কিন্তু টানাটানির সংসারে চিকিৎসা খরচ কিভাবে উঠে আসবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারের সদস্যরা, এমনকি মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য। দিলীপের দাদা শচীন ওরাওঁ বলেন, ভাই প্রায় এক বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। রায়গঞ্জ, ইসলামপুরের ডাক্তার দেখানোর পর অপারেশন করা হয়। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার। কিন্তু এক বছর ধরে ভাইয়ের কোন কাজ নেই। লকডাউনে আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এমনকি মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য। 

অন্যদিকে প্রতিবেশী আব্দুল জালেক বলেন, পরিবারটি খুবই দুঃস্থ। তারা ব্যয় বহুল এই চিকিৎসা করাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। পাড়ার সবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা হলেও চিকিৎসা খরচ জোগাড় করা বড় মুশকিল। এই ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সহৃদয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে দিলীপের চিকিৎসার জন্য আর্জি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।